সূচিপত্র

সাধারণ নিয়ম

মনস্থির করে সময় নিয়ে পরিকল্পনা করুন

প্রায়শই দেখা যায় তাড়াহুড়া করে ভ্রমণ এর পরিকল্পনা করা হয়। এটা ঠিক নয়। হাতে সময় নিয়ে মনস্থির করে পরিকল্পনা করুন।

মনে রাখবেন, তাড়াহুড়া করতে যেয়ে যেন, ভুল পরিকল্পনা না হয়ে যায়। বৃষ্টির সময় পাহাড়ে ভ্রমণ করা ঠিক নয়। এটা মাথায় রাখতে হবে।

ভ্রমণের লিস্ট তৈরি করুন

ভ্রমণের কমপক্ষে ৭ দিন পূর্বেই আপনার ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় লিস্ট তৈরি করুন। সম্ভব হলে তারও আগে থেকে লিস্ট তৈরি করা শুরু করুন।

ভ্রমণের সাথে কি কি নিবেন। সিজন অনুযায়ী শীতের পোশাক অথবা গ্রীষ্মের পোশাক কোন গুলো নিবেন আগে থেকে ঠিক করে রাখুন।

এছাড়া অন্যান্য আনুসাঙ্গিক জিনিস গুলোর একটা লিস্ট তৈরি করে ফেলতে পারেন। এ কাজে আপনার মোবাইল এর নোটপ্যাড এপ্স এর সহায়তা নিতে পারেন।

নাম্বার দিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস গুলোর একটা লিস্ট বানিয়ে ফেলুন। যেহেতু মোবাইল সব সময় আপনার সাথে থাকে, তাই আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস এর কথা মনে আসার সাথে সাথে মোবাইলে লিখে ফেলতে পারবেন।

স্থানীয় ভাষার সাধারণ বাক্যাংশ গুলো জেনে রাখুন

বাংলাদেশে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশীদের এই বিষটা খুব একটা দরকার হয় না। তবুও পাহাড়ি অঞ্চল যেমনঃ চট্রগ্রাম, সিলেট এ সব এলাকায় গেলে তাদের স্থানিয় ভাষা বুজা কিন্তু খুব কঠিন।

তাই তাদের সাথে কথা বলার জন্য প্রয়োজনীয় ছোট খাটো শব্দ গুলো জেনে রাখলে আপনার অনেক সুবিদা হবে।

এছাড়া বিদেশ ভ্রমনে গেলে তাদের ভাষা না বুজলেও আপনি যদি ছোট খাটো শব্দ গুলো জানেন যেমনঃ Hi, Hello, Please, Thank you and I’m sorry এগুলো দিয়ে অনেকটা চালিয়ে নিতে পারবেন।

একটি অতিরিক্ত ক্যামেরা ব্যাটারি নিতে ভুলবেন না (বা দুটি)

ভ্রমণের সময় আমারা ভ্রমণের মুহূর্ত গুলো ছবি বা ভিডিও আকারে সংরক্ষণ করতে পছন্দ করি।

তাই ভ্রমণের সময় আপনার ক্যামেরার জন্য অবশ্যই সাথে করে ১ বা ২ টি অতিরিক্ত ব্যাটারি নিতে ভুলবেন না।

একটা ভুলের জন্য আপনার চমৎকার সেই সময়টা ফ্রেমবন্দি করতে পারবেন না। তখন আফসোস করবেন শুধু।

ভ্রমণ পোশাক এর প্রতি খেয়াল করুন

ভ্রমণের সময় সিজন অনুযায়ী পোশাক নিতে ভুলবেন না কিন্তু। যে কথা একটু আগেই আমি বলেছি।

শীতের সময় ভারি কাপড় সাথে মোজা, চাদর আর, গরম এর সময় হালকা পাতলা কাপড় নিবেন।

সর্বদা ভ্রমণ বীমা কিনুন

এটা বাংলাদেশে কতটা জনপ্রিয় তা বলতে পারছি না। তবে এটা সকল ট্রাভেলার এর জন্য জরুরি।

সর্বদা যে কোন দেশে ভ্রমনে গেলে ভ্রমণ বীমা কিনার চেষ্টা করবেন। এটা আপনার মেডিক্যাল এর জন্য অনেক সহায়ক।

গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের ফটোকপি করে রাখুন

ভ্রমণের সময় আমাদের অনেক গুরুত্ব পূর্ণ কাগজপত্র সাথে নিতে হয়। যেমনঃ পাসপোর্ট, ভিসা, ভোটার আইডি ইত্যাদি।

এগুলোর ফটোকপি করে রাখুন। অনেক সময় ভ্রমনে থাকা কালীন আমরা বেখেয়ালি হয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো হারিয়ে ফেলতে পারি।

তাই, আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের ফটোকপি করে রাখুন।

অতিরিক্ত আন্ডারওয়্যার নিন

ভ্রমণের সময় সাথে করে অতিরিক্ত আন্ডারওয়্যার নিন। কারন, ভ্রমনে আমরা সব সময় ঘুরার উপরে থাকি।

সারাদিন ঘুরার ফলে আন্ডারওয়্যার ঘেমে দুর্গন্ধ বের হয়। পরের দিন যদি আবার আপনি এটা পড়ে বের হন তাহলে সেখান থেকে ব্যাকটেরিয়া হয়ে আপনার চুলকনি সহ অনেক রোগের জন্ম হতে পারে।

তাই ভ্রমনে অতিরিক্ত আন্ডারওয়্যার নিন।

ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে নিন

ভ্রমণের ১/২ দিন আগেই আপনার ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে নিন। আপনি ভ্রমনে যা যা নিবেন সেটার যে লিস্ট করেছেন সে অনুযায়ী ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে ফেলুন।

১/২ দিন হাতে রেখে ব্যাকপ্যাক গুছালে ভুল ক্রমে যেটা আপনি নিতে ভুলে গেছেন সেটা মনে পড়ে যাবে।

ইলেকট্রনিক্স, ঔষধ, টুথব্রাশ, এবং আপনার ব্যাকপ্যাক এ অতিরিক্ত জুতা রাখুন

ভ্রমণের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইটেম সবসময় আপনাকে বহন করতে হবে। আপনি যদি কোন সৈকতে ছুটিতে যান তাহলে কিন্তু আপনাকে সাথে করে সাঁতারের পোষাক নিতে হবে।

তেমনি ভাবে সমুদ্রের বিচে হাটা চলার জন্য আপনি সাথে করে অতিরিক্ত হালকা গঠনের জুতা সাথে নিতে পারেন।

পাবলিক পরিবহনে চলার জন্য ভাড়া জেনে নিতে পারেন

ভ্রমণের সময় এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা যাওয়ার জন্য অনেক সময় আমাদের পাবলিক পরিবহন ব্যাবহার করতে হয়।

তাই পাবলিক পরিবহনে উঠার আগে পাবলিক পরিবহনে চলার জন্য ভাড়া জেনে নিতে পারেন।

প্লেনে হাইড্রেটেড থাকুন

একদেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমণের জন্য আমাদের প্লেনে করে যেতে হয়। প্লেনে লং জার্নির সময় যখন প্লেন অনেক উপরে থাকে যেমনঃ ৩০,০০০ ফিট ।

তখন প্লেনে হাইড্রেটেড থাকার চেষ্টা করুন।

হোটেল ঠিকানা এবং হোটেল এর ফোন নাম্বার আপনার ফোনে লিখে রাখুন

ভ্রমণের সময় এরকম হয় যে, অনেক সময় আমি হোটেল এর নাম ভুলে যাই। তাই আমি হোটেল এর ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বার আমার মোবাইলে লিখে রাখি।

আমার মত এরকম আছেন কেউ?

স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা করুন

আমি প্রায়শই খাবারের জন্য কোন হোটেল ভালো বা স্থানীয় বিখ্যাত কি খাবার রয়েছে সেটা জানার জন্য স্থানীয়দের জিজ্ঞেস করি।

আপনারও এটা করে দেখতে পারেন।

ফ্রি পাবলিক ওয়াইফাই থেকে সাবধান

ভ্রমণের সময় বা অন্য যে কোন সময় ফ্রি পাবলিক ওয়াইফাই ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

বিমানবন্দর গুলোতে অনেক সময় ফ্রি পাবলিক ওয়াইফাই পাওয়া যায়। আমি এগুলো থেকে সাবধান থাকার ব্যাপারে পরামর্শ দিব।

তবে, আপনার হোটেল বা অন্য কোথাও যদি ওয়াইফাইয়ে পাসওয়ার্ড দেয়া থাকে, তাহলে আপনি সেটা ব্যাবহার করতে পারেন।

ভ্রমণ এর আগে আপনার ব্যাংক এবং ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি কে সতর্ক করে রাখুন

আপনি যদি বিদেশে থাকাকালীন আপনার ক্রেডিট কার্ড কোম্পানী বা ব্যাঙ্ককে আপনার কার্ডে একটি হোল্ড রাখতে না চান তবে এটি একটি দুর্দান্ত অভ্যাস।

সব সময় সতর্ক থাকা ভালো।

ভ্রমণের সময় সাথে বই রাখুন

ভ্রমণের সময় পড়ার জন্য সাথে আপনার পছন্দের বই রাখতে পারেন। অনেক সময় লং জার্নি করতে হয়। তখন আপনি বই পড়ে সময়টা কে ভালো করে উপভোগ করতে পারেন।

মন খোলা রাখুন

ভ্রমণের সময় মন খোলা রাখুন। অন্যান্য কাস্টমস কে বিচার করবেন না। মনে রাখবেন আপনি একজন পরিদর্শক। শ্রদ্ধাশীল হওয়া শিখুন।

ভ্রমণ এর সময় নির্ধারিত করে রাখবেন না

সময় নির্ধারণ করে ভ্রমণ করবেন না। বলা যায় না, অনির্ধারিত সময় গুলোও অনেক সময় নির্ধারিত সময় এর চেয়ে বেশি আনন্দময় হয়।

তাই সময় নির্ধারিণ এর ক্ষেত্রে এই বিষয়টা খেয়াল রাখুন।

বাড়িতে আপনার কাউকে জানিয়ে রাখুন

ভ্রমণ এর সময় বাড়িতে আপনার কাউকে জানিয়ে রাখুন। একাকী ভ্রমণ করার সময় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বলাতো যায় না, কখন দুর্ঘটনা ঘটে যায়।

আপনার ব্যক্তিগত আইটেম আলাদা করুন

একাকী ভ্রমণে গেলে ভিন্ন কথা। তবে, কয়কজন একসাথে ভ্রমণে গেলে আপনার ব্যক্তিগত আইটেম আলাদা করুন।

অন্যকে জানান আপনার পছন্দের খাবার ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে।

বাজেটের বাহিরে আলাদা ব্যাকআপ বাজেট রাখুন

ভ্রমণের জন্য এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভ্রমণে অনেক সময় বেখেয়ালি থাকার কারনে ব্যাগ হারিয়ে ফেলি। আবার অনেক সময় চুরি বা ছিনতাই হয়ে যায়।

তাই আপনার ক্রেডিটকার্ড এবং অতিরিক্ত টাকা আপনার গোপন জায়গায় রেখে দিন।

প্রয়োজনের সময় এটা খুব কাজে দিবে।

যে কোন সমস্যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিন।

প্রয়োজনীয় ঔষধ সাথে রাখুন

ভ্রমণের সময় আপনার প্রয়োজনীয় ঔষধ গুলো সাথে রাখুন। কারন, ভ্রমণে সব জায়গায় সব ঔষধ পাওয়া নাও যেতে পারে।

প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কিছু ঔষধ সাথে রাখতে পারেন।

অসুস্থ অবস্থায় ভ্রমণ না

অসুস্থ অবস্থায় ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন, ভ্রমণ আনন্দে জায়গা। তেমনি, ভ্রমণের জন্য শারীরিক এবং মানসিক শক্তির প্রয়োজন।

অসুস্থতা নিয়ে ভ্রমণে গিয়ে অসুস্থতা আরও বারিয়ে দিবেন না।

প্রয়োজনীয় নাম্বার গুলো কাগজে লিখে রাখুন

ভ্রমণে গেলে মোবাইল থাকা সত্তেও আপনার প্রয়োজনীয় নাম্বার যেমনঃ বাসার নাম্বার, হাজবেন্ড, ওয়াইফ, বন্ধুর নাম্বার গুলো একটা কাগজে লিখে সাথে রাখুন।

বলাতো যায় না, আপনার মোবাইল টি যদি হারিয়ে যায় বা ছিনতাই হয়ে যায় তাহলে যাতে কাছের মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

তাই অবশ্যই প্রয়োজনীয় নাম্বার গুলো কাগজে লিখে রাখুন।

গ্রুপ ট্যুর

সঠিক জায়গা বাছুন

এমন হতেই পারে আপনি ভালোবাসেন পাহাড় আর আপনার সঙ্গে যাঁরা ট্র্যাভেল করছেন তাঁদের পছন্দ সমুদ্র। ফলে আপনি যদি তাঁদের মতামতের তোয়াক্কা না করে বেছে ফেলেন কোনও ট্রেকিং ট্রিপ, তাহলে সমস্যা তো হবেই! কিংবা কেউ যদি খুব বেশি খুঁতখুঁতে হন হোটেল, বিছানা, টাওয়েল নিয়ে তাঁকে সঙ্গী করে পাহাড়ের খাঁজে টেন্ট পাততে গেলেও দেখা দেবে বিপত্তি। তাই যে কোনও জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার আগে সমমনস্ক ভ্রমণসঙ্গী বেছে নিন। না হলে পুরো ট্রিপটাই মাটি হয়ে যাবে!

ভালো করে জেনে নিন সঙ্গীকে

কারও সঙ্গে কোনও জায়গায় বেড়াতে যাওয়া মানে সেই ব্যক্তির সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা কাটানো। ফলে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া থাকাটা খুবই প্রয়োজন। তাই বেড়াতে যাওয়ার আগে একে অপরের পছন্দ-অপছন্দগুলি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে পরে অশান্তি হওয়ার চান্স কম।

অ্যাডভান্স বুকিং

হাজার মুণির হাজার মত। বেড়াতে গিয়ে সেই ঝক্কি থেকে বাঁচতে চাইলে সব জায়গার বুকিং আগে থেকে করে নিন।

অর্থই অনর্থের…

মূল, তা বলছি না। কিন্তু একসঙ্গে বেড়াতে গেলে খরচের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে বই কি! সবার খরচ করার সামর্থ বা মানসিকতা এক হয় না। তাই আগে থেকেই একটা মোটামুটি বাজেট আর কিছু বাড়তি টাকার যোগান করে রাখা ভালো। এই অ্যাকাউন্টে সবাই সমান কনট্রিবিউট করবেন। এবং কি খরচ হচ্ছে তারও একটা হিসেব রাখবেন। এতে মনোমালিন্য হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

একজনই সকলের খরচাদে নিজ পকেট থেকে দেয় না করে সকলে একজনের কাছে টাকা দিয়ে ফান তৈরি করে সেখান থেকে খরচ করুন

রুম শেয়ার

একসঙ্গে বেড়াতে গেলে অনেক ক্ষেত্রেই ঘর শেয়ার করতে হয়। সেক্ষেত্রে আগেভাগেই নিজেদের পছন্দ-অপছন্দের কথা বলে নিন। যেমন ধরুন আপনি যাঁর সঙ্গে রুম শেয়ার করবেন তিনি কোনও কিছুই গুছিয়ে রাখেন না। উল্টো দিকে আপনি খুবই খুঁতখুঁতে। সেক্ষেত্রে দুজনকেই কিছু না কিছু কমপ্রোমাইজ তো করতেই হবে!

ব্যক্তিগত জিনিস শেয়ার করা

আপনি কি নিজের জিনিয় অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে পছন্দ করেন? যদি তা না হয়, তা হলে আগে থেকেই তা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিন। তবে এটাও একই সঙ্গে মনে রাখবেন। আপনি যেমন নিজের জিনিস অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করতে পছন্দ করেন না, তেমনই অপর ব্যক্তিরও এই একই মানসিকতা থাকতে পারে। সেটাও মেনে নেওয়ার অভ্যেস করুন।

ঝগড়া নাই বা করলেন

হাতের পাঁচটা আঙুল কি সমান হয়? হয় না। তাই একসঙ্গে যখন বেড়াতে যাচ্ছেন, তখন ছোটখাটো পছন্দ-অপছন্দকে বেশি গুরুত্ব দিতে যাবেন না। মিলেমিশে থাকুন। এতে বেড়ানোর আনন্দ দ্বিগুন হয়ে যাবে।

খরচাদি

আগেই পরিকল্পনা করে নিন

কোথায় যাবেন সে বিষয়ে সবার মতামত নিন। কোথায় যেতে হবে, কীভাবে সেখানে যেতে হবে, কী কী দেখতে হবে এবং কোন কোন কাজ করতে হবে এসব ব্যাপারে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়ে এরপর ঘুরতে যান। বেড়াতে যাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে নতুন কিছুও পরিকল্পনায় যোগ হয়ে যেতেই পারে। তবে আগে থেকে একটি পরিকল্পনা নির্দিষ্ট করে রাখলে অপ্রয়োজনীয় খরচ হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।

ভরা মৌসুমে ভ্রমণ নয়

ছুটির দিন বা ভরা মৌসুমে ভ্রমণ করলে ব্যয় নিঃসন্দেহে বেশি হয়। অফ-সিজনে ভ্রমণ করার চেষ্টা করুন। হ্যাঁ, এটা সত্যি যে ভরা মৌসুমেই কোনো জায়গা সবচেয়ে বেশি উপভোগ্য হয়। কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে অফ-সিজনেও জায়গাটি উপভোগ্য হতে পারে এবং সবচেয়ে বড় কথা ভ্রমণের ব্যয় অনেকটাই কমে যাবে। এ বেঁচে যাওয়া টাকা ভ্রমণের অন্যান্য খাতে খরচ করতে পারবেন।

রুম শেয়ার করুন

ভাল হোটেলে থাকলে সার্ভিস ভালো পাবেন এটা তো জানা কথা। কিন্তু খুব ভালো হোটেল ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। খুব বেশি খরচ না করে গ্রুপ ট্যুরে নিজেদের জন্য বাজেটের মধ্যে হোটেল বেছে নিতে পারেন। চেষ্টা করবেন বন্ধুরা রুম শেয়ার করতে। শুধু এ কাজটির মাধ্যমেই কিন্তু গ্রুপ ট্যুরে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত খরচ কমানো সম্ভব।

স্থানীয়দের সঙ্গে পরামর্শ করুন

স্থানীয়দের পরামর্শ নেওয়া ভ্রমণের সময় খরচ কমানোর কার্যকরী উপায়। শহরে সাশ্রয়ী মূল্যে কোথায় থাকা যাবে, ঘোরা যাবে এবং খাওয়া যাবে তারা সে বিষয়ে ভালো জানেন। এ ছাড়া, কোনো সমস্যায় পড়লেও তারা সাহায্য করতে পারেন।

সপ্তাহের শেষে নয়

ভ্রমণ পরিকল্পনা সব সময় সপ্তাহের শেষেই করতে হবে, এমন নয়। বেশির ভাগ সময় সপ্তাহের শেষে ভ্রমণের স্থানগুলোতে বেশ ভিড় থাকে। সে ক্ষেত্রে সপ্তাহের মাঝামাঝি ভ্রমণ হতে পারে ভালো সমাধান। সপ্তাহান্তের চেয়ে সপ্তাহের মাঝে সবকিছুর দামও বেশ কম থাকে।

ডিসকাউন্টের সুবিধা নিন

বিভিন্ন ট্রাভেল ওয়েবসাইটে নিয়মিতই বড়সড় ছাড়ের অফার পাওয়া যায়। বিশেষ করে অফ সিজনে যখন ভ্রমণার্থীর বেশ অভাব থাকে। সেসবের দিকে নজর রাখুন। শুধু তা–ই নয়, এয়ারলাইনস, হোটেল এবং অন্যান্য ভ্রমণ সংস্থাগুলোর দিকেও নিয়মিত নজর রাখুন। কারণ, যেকোনো সময় বিশাল ছাড়ের অফার আসতে পারে। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ভুল করবেন না।

গণপরিবহন ব্যবহার করুন

দেশ কিংবা দেশের বাইরে, ভ্রমণের জন্য যেখানেই যান না কেন, ট্যাক্সি কিংবা ভাড়া করা গাড়ি সব জায়গাতেই ব্যয়বহুল। বরং সেই শহরের বাস, ট্রেন কিংবা পাতালরেলের মতো গণপরিবহন ব্যবহার করুন। এতে যেমন ভ্রমণ খরচ কমবে, তেমনই শহরের সৌন্দর্য ও স্থানীয় মানুষজনের জীবন আরও কাছ থেকে উপভোগ করতে পারবেন।